গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়, বর্তমান সময়ে সকল মা বাবাই চায় তাদের সন্তান যেন বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই তা জানিনা যে গর্ব অবস্থায় কি ধরনের খাবার খেলে সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হবে। তাই আমরা আজকে এই সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমরা অনেক সময় লক্ষ্য করে থাকি যে জন্মের পরে শিশুরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভোগে এবং মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আর এ ধরনের সমস্যাগুলো হয় সাধারণত পুষ্টিকর খাবারের অভাবে। আমরা অনেকেই তা জানি না যে পুষ্টিকর খাবারের অভাবে কিছুর মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
- গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
-
গর্ব অবস্থায় তেতুল খেলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
- গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়
- গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়
-
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
-
লেখক এর মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়ের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় হাত্যা
ঘাস কেবল মায়ের শরীরের উপর নয়, ভবিষ্যৎ সন্তানের বুদ্ধিমত্তা, মানসিক বিকাশ ও
মস্তিষ্ক গঠনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, অবস্থায়
মায়ের খাওয়া দেওয়ার গুণগত মান শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে।
গর্ভাবস্থায় কি খাবার খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়, এই বিষয়ে আমরা অনেকেই জানি
না। এখন আমাদের লাইফ স্টাইল পাল্টে গেছে, বর্তমান সময়ে এসে আমরা অনেক ভেজাল
যুক্ত খাবার খাচ্ছি। এজন্য সকল মা-বাবাই চায় হেলদি সন্তান হওয়ার। জন্মের পর
সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হবে, এটি নির্ভর করে সম্পূর্ণ একটি মা গর্ভাবস্থায় কি
ধরনের খাবার খাচ্ছে এটির উপরে। গর্ভাবস্থায় একটি মা যদি পুষ্টিকর খাবার খায়
তাহলে তার সন্তান একজন মেধাবী ও বুদ্ধিমান সন্তান হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায়
একটি মা কে পুষ্টিকর গুণগত মান সম্পন্ন খাবার খেতে হবে। গর্ভধারণের প্রথম
তিন থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে শিশুর নায়ক তন্ত্র ও মস্তিষ্কের গঠন শুরু হয়। তাই
গর্ব অবস্থায় একেবারে শুরু থেকে সুষম খাদ্য খাওয়া জরুরী। বিশেষ করে প্রথম টাইম
স্টাররে পর্যাপ্ত ভিটামিন খনিজ গ্রহণ শিশুর মানসিক বিকাশে বড় ভূমিকা রাখে।
এই জন্য নিয়ম অনুযায়ী সময় মত এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যা সন্তানের উন্নত
মস্তিষ্ক গঠনের সাহায্য করে। ভিটামিনযুক্ত খাবার সেই খাবার তালিকায় রাখতে হবে।
যেমন-মাছ,মাংস, দুধ, ডিম। এই খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় খেতে হবে। এবং এর
সাথে আরো কিছু পুষ্টিকর খাবার যোগ করে নিতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়, এই বিষয়টি নিয়ে অনেক মা গর্ভাবস্থায়
চিন্তিত থাকেন। আমার বাচ্চার গায়ের রং কেমন হবে? আসলে বাঁচার ত্বকের রং
নির্ভর করে তার জীনগত বৈশিষ্ট্যের উপর, তবে গর্ভাবস্থায় কিছু পুষ্টিকর
খাবার খেলে শিশু ত্বক হতে পারে স্বাস্থ্যবান, পরিষ্কার, ও উজ্জ্বল।
আপনি যদি গর্ব অবস্থায় ভিটামিন এ খান তাহলে আপনার বাচ্চার শরীর উজ্জ্বল বা ফর্সা
হতে পারে। যেমন আপনি যদি দুধ অথবা দুধ জাতীয় খাদ্য খান বাদাম, কিসমিস, খেজুর
এগুলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। গর্ভাবস্থায় সবসময় আপনি চেষ্টা করবেন
পুষ্টিকর ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়ার।
গর্ভাবস্থায় ফলমূল, শাকসবজি এ ধরনের ভিটামিন যুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে
খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা উজ্জ্বল ও
মিশ্রণ হতে পারে। এজন্য গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ফল বলে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে, যেটাতে আপনার বাচ্চাকে বুদ্ধিমান উজ্জ্বল ও মিশ্রণ
হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে একটি বাচ্চার গায়ের রং কেমন হবে সেটা নির্ভর
করে সম্পূর্ণ তার বাবা-মার জিনগত রঙের উপরে।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায় আপনার কি কি ফল খাওয়া উচিত,। গরুর অবস্থায় আপনার ভিটামিনযুক্ত
খাবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আপনারা শুনে থাকবেন ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী ডাক্তাররা বলে বাচ্চা গর্ভে আসার পর থেকে একজন গর্ভবতী নারীর দুইজন
মানুষের খাবার প্রয়োজন হয়। এবং ডাক্তাররা পরামর্শ দেয় যে ভিটামিনযুক্ত খাবার
খাওয়ার জন্য। তাহলে চলুন জেনে নেই কি কি খাওয়া প্রয়োজন।
আমরা একটা বিষয়ে সবাই অবগত থাকি যে একটি মা যখন খাবার খায়, সেই খাবার তার পেট
থেকে সন্তান সেই খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। রাজাকারী পরামর্শ অনুযায়ী একজন গর্ভবতী
নারী খুব বেশি পরিমাণে খেতে হবে। আর এই জন্য বলা হয়ে থাকে যেন সেই বাচ্চা সুস্থ
এবং সবল অবস্থায় থাকে। গরবস্থায় একজন নারীর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনের প্রয়োজন।
এজন্য আপনার প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার, ফলমূল ও শাকসবজি
খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ
গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত? ১০টি উপকারী ফলের তালিকা দেওয়া হলঃ
- কলাঃ কলা হলো গর্ভাবস্থায় অন্যতম সেরা একটি ফল কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন খনিজ ও প্রাকৃতিক শক্তি। এবং আরো রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও বেশির কার্যকারিতা ঠিক রাখে পটাশিয়াম। এবং হাড়ের গঠন, ঘুম ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কাজ করে ম্যাগনেসিয়াম। তাই গর্ভাবস্থায় আপনাকে প্রতিদিন একটি করে হলেও কলা খেতে হবে।
- আপেলঃ আপেলে আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা মা ও শিশুর শরীরকে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। আপেল খেলে বাচ্চার মেধাবীদের বিকাশ ঘটে, এবং উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।
- কমলালেবুঃ কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এবং কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা উচ্চতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে যা গর্ব অবস্থায় মা ও সন্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
- আঙ্গুরঃ আঙ্গুরা রয়েছে ভিটামিন বি ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর হচ্ছে এই আঙ্গুল প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। যেটি গর্ভাবস্থায় মা এবং বাচ্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- আমঃ আমি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা গর্ভবস্থায়ী মায়ের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
- স্ট্রবেরিঃ স্ট্রবেরিতে ভিটামিন ফাইবার রয়েছে এছাড়াও স্ট্রবেরিতে পটাশিয়াম রয়েছে। যা আপনার ও আপনার বাচ্চার জন্য খুবই উপকারী একটি ফল।
- তরমুজঃ তরমুজায় ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। যা আপনার পেটের গ্যাসের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
- ডালিমঃ অনেক ধরনের ক্যালসিয়াম প্রোটিন ও ভিটামিন সি রয়েছে যা গর্ভাবস্থার মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল হল ডালিম।
- আদাঃ আদাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এর এবং ভিটামিন সি রয়েছে, যা শিশুর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ আদা চোখ, শরীর ও ত্বক গঠনে সাহায্য করে থাকে।
- পেয়ারাঃ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুনে ভর্তি এই পিয়ারা যা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়
আপনারা অনেকেই জানেন তেঁতুল খেলে মানুষের শরীরের রক্ত পরিষ্কার হয়ে থাকে। কিন্তু
একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য কতটুকু তেতুল খাওয়া উচিত এটা কি জানেন? একজন
গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রতিদিন ১০ গ্রাম বা এক থেকে দুই চামচ তেতুল খেতে পারবেন।
যদি ১০ গ্রামের বেশি খেয়ে ফেলেন। তাহলে আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় প্রথমদিকে বমি বমি ভাব বা অরুচি দূর করতে তেতুল সাহায্য করতে পারে।
তেঁতুলে থাকা ফাইভার হজম ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং কষ্টি কাঠিন্য কমায়। তেতুলে
রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট, যা মায়ের ও গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এবং
তেতুলে রয়েছে কিছুটা পরিমাণে আয়রন যা রক্তশূন্যতা কমাতে সহায়ক হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত তেঁতুল খেলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে। তেতুলে কিছু
প্রাকৃতিক উপাদান থাকে যা রক্তচাপ হঠাৎ কমিয়ে দিতে পারে, যা গর্ভবতীর জন্য
ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় তেতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
তেতুল বেশি খেলে এসিডিটি বা পেটে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। এবং তেতুলের প্রাকৃতিক
চিনি থাক্ তাই গর্ব অবস্থায় ডায়াবেটিক্স থাকলে অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়।
আপনারা অনেকেই আছেন যারা তেঁতুলের আচার খেয়ে থাকেন। গর্ব অবস্থায় যদি আপনি
অতিরিক্ত মাথায় মাত্রায় তেতুল খান তাহলে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন। তাই অতিরিক্ত
তেঁতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রতিদিন এক থেকে দুই চামচ বা 10 গ্রাম করে
তেঁতুল খান সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন।
গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
গর্ভাবস্থায় কিছু কাজ এবং অভ্যাস থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এগুলো মায়ের ও
গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় আপনি যদি কোন
কাজ করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে সাবধানতার সাথে সেই কাজটি করতে হবে। কেননা আপনার
শুধুমাত্র ছোট্ট একটি ভুলের কারণে আপনার পেটে থাকা বাচ্চার অনেক বড় একটি সমস্যা
হয়ে যেতে পারে।
প্রতিটি গর্ভবতী মার উচিত তার সন্তানকে সুস্থ সবল রাখা বড় অবস্থায় শক্ত অথবা
ভারী ধরনের কাজ করা যাবে না। ভারী কোন জিনিসপত্র তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে এতে
জরায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে। একটানা দাঁড়িয়ে থাকলে পায়ে ফুলে যাওয়া রক্ত
চলাচল ব্যাহত হওয়া ও কোমর ব্যথা হতে পারে তাই গর্ব অবস্থায় একটানা অনেকক্ষণ
দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না।
কোন গর্ভবতী মায়ের সামনে যদি কেউ ধূমপানও মধ্যপান করে তাহলে তার থেকে দূরে থাকতে
হবে। কেননা এটি শিশুর বুদ্ধিও দেহের বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত
মাত্রায় চা কফি এগুলা খাওয়া যাবেনা। কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় চা কফি বেশি খেলে
শিশুর ওজন কমে যেতে পারে বা গর্ভপাত হতে পারে। এবং কাচা জাতীয় কোন খাবার
খাওয়া যাবে না যেমন কাঁচা ডিম কাঁচা দুধ কাঁচা মাংস এগুলো খেলে ইনফেকশনের ঝুঁকি
থাকে। তাই ভালোভাবে রান্না করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে খাওয়া উচিত।
একজন গর্ভবতী মা যে ভুলটি বেশি করে থাকেন সেটি হল- ভুল ভঙ্গিতে শোয়া বা
ঘুমানো। আপনি যদি ভুল ভঙ্গিতে ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে আপনার পেটে বাচ্চার ক্ষতি হতে
পারে। গর্ভের শেষের দিকে পিঠের ওপর শোয়া না করাই ভালো। বাম পাশে শোয়া সব চেয়ে
নিরাপদ। তাই আপনারা এই বিষয়টি লক্ষ্য করে ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী চলাফেরা
করবেন। এবং ঘুমানোর সময় অনেকে মানসিক টেনশন করেন, মানসিক চাপে থাকেন। এতে
করে শিশুর স্বাস্থ্যের প্রভাব ফেলতে পারে। তাই রিলাক্সে বিশ্রাম নিবেন বা
ঘুমাবেন। এবং নিজের ইচ্ছা মত ওষুধ খাওয়া যাবে না ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
ওষুধ খেতে হবে।
সব সময় একটি বিষয় মনে রাখবেন গর্ব অবস্থায় ধরুন সবার এক রকম নয়। কারো ঝুঁকি
বেশি, কারো কম। আপনার যদি কোন অসুবিধা বা বিশেষ উপসর্গ থাকে যেমন-উচ্চ রক্তচাপ,
ডায়াবেটিকস ইত্যাদি। তাহলে আপনাকে আরো সাবধানে চলাফেরা করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় পানি কম খাওয়া মায়ের ও গর্ভস্থ শিশুর জন্য বেশ কিছু ঝুঁকির কারণ
হতে পারে। গর্ভকালীন সময় শরীরের পানির চাহিদা বেড়ে যায়, কারণ এই সময় শরীরের
রক্তের পরিমাণ বাড়। আপনারা অনেকেই জানেন না যে গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি
ক্ষতি হতে পারে। একজন একজন গর্ব অবস্থায় নারী যদি বেশি পানি পান করে তাহলে
আপনার বাচ্চা পেটে ভাসমান অবস্থায় থাকে, এর ফলে অক্সিজেন ভালো পায় এবং বাচ্চার
সুস্থ থাকে। আর আপনি যদি পানি পান কম করেন তাহলে নানা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন।
আপনার পেটে থাকা বাচ্চার অনেক ক্ষতি হতে পারে।
একজন গর্ভবতী নারীর প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ গ্লাস পানি পান করা দরকার। বা চার থেকে
পাঁচ লিটার। এমনকি আপনি শুধু পানি পান করতে না পারেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের পানীয়
জাতীয় খাদ্য খেতে পারেন। কিন্তু আপনার ক্ষতি হবে এরকম কোন পানীয় জাতীয় খাবার
খাওয়া যাবে না। আপনি যদি কোন ক্ষতিকর পানীয় জাতীয় খাদ্য খান তাহলে আপনার পেটের
বাচ্চার অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় আপনি যদি সঠিক নিয়মে পানি
পান করেন তাহলে আপনার বাচ্চা নরমালে হওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সব সময়
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক নিয়মে পানি পান করার চেষ্টা করবেন।
এমনিতেও আমরা জানি যে পানির অপর নাম জীবন। গর্ভস্থায়ী পানি সন্তানের
জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সকল মানুষেরই উচিত পানি বেশি
মাত্রায় পান করা। বেশি মাত্রায় পানি পান করলে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে
যায়। শরীরের লিভার ও কিডনি ভালো থাকে। আপনি যদি গর্ব অবস্থায় বেশি পানি পান
করেন তাহলে বাচ্চা জন্মের সময় লিভারে যে ব্যথা হয় সেটি আর হয় না। তাই
গর্ভাবস্থায় চেষ্টা করবেন সব সময় পানি বেশি মাত্রায় পান করার জন্য। এতে করে
আপনিও ভালো থাকবেন এবং আপনার পেটের বাচ্চা সুস্থ সবল থাকবে।
গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় খালি পেটে থাকলে কি হয়, এই সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। যার কারণে
গর্ভাবস্থায় আমরা অনেকেই খালি পেটে থাকি। গর্ব অবস্থায় খালি পেটে থাকা খুবই
ক্ষতিকর। মায়ের শরীরে গর্ভস্থ শিশুর জন্য দুজনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে
পারে। গর্ভকালীন সময় শরীরে হরমোন পরিবর্তনের কারণে, খিদে , হজম ,
রক্তচাপ ইত্যাদির ওপর বাতি প্রভাব পড়ে। তাই সময়মতো এবং সুষম খাবার খাওয়া উচিত।
মায়ের শরীর থেকে শিশুর পুষ্টি সরবরাহ হয়। খালি পেটে থাকলে শিশুর বেড়ে ওঠার
জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ক্যালসিয়াম ঠিকমতো পৌঁছায় না। এতে শিশুর ওজন কমে যেতে
পারে বা জন্মগত জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই গর্ব অবস্থায় আপনার উচিত পুষ্টিকর ও
সুষম খাদ্য খাওয়া। খালি পেটে থাকলে পাকস্থলীতে এসিড বেড়ে যায়, বুক জ্বাল্
গ্যাস বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ে। খিদে পেটে থাকার ফলে মেজাজ খারাপ হয়,
মন খারাপ লাগ্ বিরক্তি আসে। এ সময় মানসিক সুস্থতা ও গুরুত্বপূর্ণ।
শরীরের পুষ্টির ঘাটতি হলে জরায়ু সংকুচিত হতে পারে, যার ফলে সময়ের আগে প্রসব বা
গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনি যদি না খেয়ে খালি পেটে থাকেন তাহলে
আপনার পেটে থাকা বাচ্চার উপর সেই প্রভাবটি পড়বে এবং আপনার বাচ্চার শারীরিক ও
মানসিক দুর্বল হয়ে পড়বে। কিছু খাওয়ার মন না চাইলেও হালকা হালকা করে কিছু খেতে
হবে। কারণ আপনার পেটের বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে হবে। আপনি যদি না খেয়ে থাকেন তাহলে
আপনার বাচ্চা পর্যাপ্ত প্রোটিন ও পুষ্টি পাবে না।
এজন্য সব সময় চেষ্টা করবেন গর্ব অবস্থায় যেন আপনার পেট সবসময় ভর্তি থাকে।
তাহলে আপনার বাচ্চাও সুস্থ থাকবে। এবং চেষ্টা করবেন পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার জন্য।
তাহলে আপনার পেটের বাচ্চার পুষ্টির ঘাটতি হবে না। গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন
সবসময় ডাকের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করবেন। এর ফলে আপনার বাচ্চা শরীর
স্বাস্থ্য সঠিকভাবে গড়ে উঠবে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা লম্বা হয়
আমরা অনেকেই এই একটি বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকি। যে আমাদের বাচ্চা কি লম্বা
হবে নাকি খাটো হবে। আসলে বাচ্চার লম্বা হবে নাকি খাটো হবে এটা নির্ভর করে মা
বাবার জিনগত বৈশিষ্ট্যর উপরে। বাঁচার উচ্চতা লম্বা হওয়া নির্ভর করে প্রধানত
জেনেটিক্স বংশগতির উপর। তবে সঠিক পুষ্টি, ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম উচ্চতা
বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখে। কিছু পুষ্টিকর খাবার আছে যে খাবার গুলো খেলে লম্বা হতে
সাহায্য করে। কিছু প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন-ডিম, মাছ, মুরগি, ডাল, দুধ ও
দুগ্ধজাত খাবার। এই খাবারগুলো প্রোটিন হার ও বেশি গঠনে সাহায্য করে।
বাঁচার উচ্চতা কতটা হবে, তার ৬০ থেকে ৮০% নির্ভর করে মা-বাবার জিনের উপর। কিন্তু
বাকি ২০ থেকে ৪০% নির্ভর করে পুষ্টি, ব্যায়াম, ঘুম ও স্বাস্থ্য
রুটিনের উপর। গর্ভাবস্থায় যদি মা সুষম খাবার, পর্যাপ্ত পানি, ভালো ঘুম ও
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট যেমন ফলিক এসিড, আইরন, ক্যালসিয়াম
গ্রহণ করেন। তাহলে বাচ্চার হার ও শরীরের সুগঠিত বৃদ্ধি ঘটে যা ভবিষ্যতে তার
উচ্চতা ভালো করতে সাহায্য করে।
লেখক এর মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়, একজন গর্ভবতী নারী তার গর্ভে
সন্তানকে কিভাবে সুস্থ সবল ভাবে গড়ে তুলব্ সেই বিষয়ে সকল বিস্তারিত সম্পর্কে
তো তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। গর্ভাবস্থায় থাকা প্রতিটি নারীর উচিত দাঁতের পরামর্শ
অনুযায়ী দীর্ঘ নয় মাস চলাফেরা করা। এর ফলে আপনি এবং আপনার বাচ্চা দুজনের সুস্থ
সবল থাকতে পারবেন।
উপরে আলোচনা করা হয়েছে গর্ভাবস্থায়ী শিশুর সকল যত্নের বিষয়ে। কিভাবে আপনার
শিশুর জন্মের পর মেধাবীহ বুদ্ধিমান হবে এবং আপনার বাচ্চা গর্ভবস্থায়ী থাকাকালীন
আপনি আপনার বাচ্চার শরীর কিভাবে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে তুলবেন। অবশ্যই দুই মাস পর পর
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এতে করে মা ও শিশু দুজনেই ভালো থাকবে।
সর্বোপরি এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন, অথবা এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করুন।
তাদের কেউ এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।
ইস্তিয়াক ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url